Bangladesh’s Defense Power: Rising through the Ranks

Over the years, Bangladesh has made significant strides in enhancing its defense capabilities. From its humble beginnings, the nation has transformed into a formidable force in the South Asian region. Today, Bangladesh stands proud as it holds the 37th position in global defense capabilities, a marked improvement from its 57th position in 2015. This evolution underscores the nation’s commitment to ensuring its sovereignty and safeguarding its citizens.

Table 1: Bangladesh’s Troops and Hardware

CategoryNumber
Active Personnel160,000
Reserve Personnel72,000
Main Battle Tanks200
Armored Fighting Vehicles400
Artillery1,700
Aircraft200 (approx.)
Naval Vessels70

Budgeting History

YearDefense Budget (in billion USD)
20102.5
20123.2
20154.1
20185.6
20217.3
20239.2

Historical Glories of Bangladesh

Bangladesh’s journey to its current defense stature is steeped in historical significance. The nation’s struggle for independence in 1971 marked a turning point, as it fought against oppression and emerged as a sovereign state. Since then, Bangladesh has continuously strived to fortify its defenses, recognizing the importance of security and stability in fostering national development.

In recent years, Bangladesh has focused on modernizing its military infrastructure and capabilities. Investments in advanced weaponry, technology, and training have significantly bolstered its defense prowess. Collaborative efforts with strategic partners have further enriched Bangladesh’s defense landscape, enabling it to effectively combat emerging security threats.

The Bangladesh Armed Forces, comprising the Army, Navy, and Air Force, have demonstrated exemplary professionalism and dedication in fulfilling their duties. From peacekeeping missions under the United Nations to counterterrorism operations at home, the armed forces have showcased their capabilities on numerous fronts.

Moreover, Bangladesh’s defense industry has witnessed remarkable growth, with indigenous production of military equipment and technology gaining momentum. This self-reliance not only reduces dependency on foreign imports but also contributes to the nation’s economic development.

মিয়ানমার ও বাংলাদেশের সামরিক শক্তির তুলনা:

  • উপগ্রহ: বাংলাদেশের কাছে ১টি, মিয়ানমারের কাছে ০টি
  • সাইবার সুরক্ষা:
    • বাংলাদেশের সাইবার সুরক্ষা ব্যবস্থা ক্রমশ উন্নত হচ্ছে।
    • মিয়ানমারের সাইবার সুরক্ষা ব্যবস্থা তুলনামূলকভাবে দুর্বল।
  • অভিজ্ঞতা:
    • বাংলাদেশের সেনাবাহিনী জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা অভিযানে দীর্ঘদিন ধরে অংশগ্রহণ করছে।
    • মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিজ্ঞতা তুলনামূলকভাবে কম।

সৈন্য সংখ্যা:

  • বাংলাদেশ: ~১.৬৩ লাখ
  • মিয়ানমার: ~১.৫ লাখ

প্রতিরক্ষা বাজেট:

  • বাংলাদেশ: $৬.৯৯ বিলিয়ন
  • মিয়ানমার: $২.৭ বিলিয়ন

যুদ্ধবিমান:

  • বাংলাদেশ:
    • মোট: ২১৬টি
    • যুদ্ধবিমান: ৪৪টি
    • বিশেষ যুদ্ধবিমান: ৪টি
  • মিয়ানমার:
    • মোট: ২৯৩টি
    • যুদ্ধবিমান: ৫৮টি
    • বিশেষ যুদ্ধবিমান: ৫টি

ট্যাঙ্ক:

  • বাংলাদেশ: ৩২০টি
  • মিয়ানমার: ৭০৫টি

সামরিক যান:

  • বাংলাদেশ: ১৩ হাজার+
  • মিয়ানমার: ৮ হাজার+

কামান:

  • বাংলাদেশ:
    • মোট: ৪৬৪টি
    • স্বয়ংক্রিয়: ২৭টি
  • মিয়ানমার:
    • মোট: ২ হাজার+
    • স্বয়ংক্রিয়: ২১৫টি

মোবাইল রকেট প্রজেক্টর:

  • বাংলাদেশ: ৭১টি
  • মিয়ানমার: ৫৮০টি

নৌ-শক্তি:

  • বাংলাদেশ:
    • মোট যুদ্ধজাহাজ: ১৯০টি
    • ফ্রিগেট: ৭টি
    • কর্ভেট: ৬টি
    • সাবমেরিন: ২টি
  • মিয়ানমার:
    • মোট যুদ্ধজাহাজ: ৩৬২টি
    • ফ্রিগেট: ৬টি
    • কর্ভেট: ৩টি
    • সাবমেরিন: ৩টি

উপসংহার:

  • সৈন্য সংখ্যা ও প্রতিরক্ষা বাজেটে বাংলাদেশ এগিয়ে।
  • যুদ্ধবিমান, ট্যাঙ্ক, কামান, মোবাইল রকেট প্রজেক্টর এবং নৌ-শক্তিতে মিয়ানমার এগিয়ে।

বিঃদ্রঃ:

  • এই তথ্য গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ২০২৪-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী।
  • এই তথ্য পরিবর্তনশীল হতে পারে।
একটি দেশের সম্পূর্ণ সামরিক শক্তি কখনই প্রকাশ করা হয় না । এমনকি তা বাংলাদেশের জন্যেও প্রোজেজ্য । বাংলাদেশ সামরিক বাহিনির মত  গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস পৃথিবীর অনেক সামরিক বাহিনীর নেই । এটি এমন একটি সামরিক বাহিনী যা অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হয়েছে ২৫ মার্চের সেই কালো রাতের পড় থেকেই । একটি পাশবিক গনহত্যা এবং তার প্রতিরোধ থেকেই শুরু আমাদের সামরিক বাহিনীর পথচলা । বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর দক্ষতা এবং মিলিটারি স্ট্রেটেজির কারনে জাতিসংঘের সবচেয়ে বড় শান্তি রক্ষা মিশনে তাদের ডাকা হয় । হয়ত আমাদের নেই পারমানবিক শক্তি কিংবা অত্যাধুনিক অস্ত্র শস্ত্র নেই , কিন্তু চেতনায় অনুপ্রাণিত এই সামরিক বাহিনীর সাথে কোন দাদাগিরি করার চরম মাশুল দিতে হবে যে কোন পরাশক্তিকে । কারন বাংলাদেশ কে গত হাজার বৎসরে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারেনি , পারবেওনা  ।

ওয়ার্ল্ড মিলিটারি রাঙ্কিং এ বাংলাদেশ 37 তম স্থানে আছে ।

রেফারেন্স- globalfirepower.com
 
আমাদের প্রতিবেশি দেশ , ধরে নেওয়া যাক ভারত যদি আমাদের আক্রমন করে ।
তাহলে আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা কি রকম আমরা কি আসলেই কোন প্রতিরোধ করতে পারব ?
কোন দেশের প্রকৃত সামরিক শক্তি কখনই সেই দেশ প্রকাশ করে না। এটি টপ সিক্রেট বিষয়। আর যুদ্ধে জিততে কিন্তু শুধু সামরিক শক্তিই একমাত্র নিয়ামক নয়। এর সাথে আরও অনেক বিষয় জড়িত। একজন মুক্তিযোদ্ধা সামরিক অফিসারের সাথে এই নিয়ে একদিন কথা হয়েছিল। ওনার বক্তব্য খুব ভাল লেগেছিল। সেটাই এখানে তুলে দিলাম
 
 
 “প্রথমত বাংলাদেশের ভুমি প্রকৃতি এমন যে এখানে যারা আক্রমণ করতে আসবে তারা চলাচল ও জায়গা দখলের ক্ষেত্রে মারাত্নক সমস্যায় পড়বে। এজন্য বাংলাদেশকে বলা হয় “ DEFENDERS PARADISE ”. আমদের দেশে আর্মির সাতটি ডিভিশন আছে। সামরিক সুত্র অনু্যায়ী কমপক্ষে একুশটি ডিভিশন নিয়ে এখানে আক্রমণ করতে হবে। যা করতে গেলে এমনকি ভারতেরও পাকিস্তান এবং চীনের বর্ডার সংলগ্ন সেনানিবাস থেকে সৈন্য আনতে হবে, সীমান্ত প্রায় অরক্ষিত রেখে। যা তারা কখনই করতে চাইবে না।
 
 
কমব্যাট সাপোর্ট
  • আর্মি এভিয়েশন রেজিমেন্ট
  • আর্টিলারি রেজিমেন্ট
  • এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারি
  • ইঞ্জিনিয়ারিং কোর
  • মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স
  • সিগনাল কোর
  • মিলিটারি পুলিশ কোর
সেনাবাহিনীর বিভাগ বা কোর গুলোর নাম খুব সংক্ষিপ্ত এবং সহজবোধ্য করে নিচে দেয়া হল
ক। আর্মার্ড – ট্যাঙ্ক বা সাঁজোয়া বাহিনী
খ। আর্টিলারি – কামান বা গোলন্দাজ বাহিনী
গ। সিগন্যালস – এরা ওয়্যারলেস, টেলিফোন, রাডার ইত্যাদির মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন ও রক্ষা করে
ঘ। ইঞ্জিনিয়ার্স – এরা যাবতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ ছাড়াও পদাতিক বাহিনীর কাজও করতে সক্ষম
ঙ। ইনফ্যান্ট্রি – পদাতিক বাহিনী
চ। আর্মি সার্ভিস কোর – এরা সেনাবাহিনীর ফ্রেশ এবং ড্রাই রেশন, গাড়ি, চলাচলের তেল ইত্যাদি সরবরাহ করে
ছ। এএমসি (আর্মি মেডিক্যাল কোর) – সেনাসদস্য ও তার পরিবারের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করে
জ। অর্ডন্যান্স – যুদ্ধ ও শান্তিকালীন সময়ে ব্যাবহারের জন্য বিভিন্ন সাজ সরঞ্জাম,পোষাক,নিত্য ব্যাবহারের দ্রব্য সামগ্রী সরবরাহ করে
ঝ। ইএমই (ইলেক্ট্রিক্যাল এ্যান্ড মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর) – বিভিন্ন ধরণের যন্ত্র তৈরি ও গাড়িসহ অন্যান্য বিভিন্ন যন্ত্র ও যন্ত্রাংশের মেইন্ট্যানেন্সের কাজ করে
ঞ। মিলিটারি পুলিশ – এরা সেনানিবাসের ভেতর পুলিশিং, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন ইত্যাদি কাজে নিয়োজিত থাকে
ট। এইসি (আর্মি এডুকেশন কোর) – সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্কুল ও প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করে
এছাড়াও আর্মি ডেন্টাল কোর, রিমাউন্ড ভেটেরেনারী এ্যান্ড ফার্ম কোর , ক্লারিক্যাল কোর ইত্যাদি আরও কিছু ছোটখাট কোর বা বিভাগ রয়েছে ।
 

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম

১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে কাউন্টার ইন্সারজেন্সি অভিযানে চালিয়ে যাচ্ছে শান্তিবাহিনীর বিরুদ্ধে, যারা উপজাতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদের জন্য লড়ছে। ভারতের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা র তাদের অস্ত্র এবং গোলাবারুদ দিয়ে সংগঠিত করেছে ।  ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে সরকার ও শান্তিবাহিনীর সঙ্গে ত থাকথিত শান্তি চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম অপেক্ষাকৃত শান্ত। যদিও এখনো সেখানে প্রচুর সেনা মোতায়েন রয়েছে শান্তি প্রতিষ্ঠা, শান্ত-করণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য।
পার্বত্য চট্টগ্রামে সাধারণ নাগরিকদের স্বাভাবিক জীবন-যাপন অব্যাহত রাখতে সেনাদের প্রচুর পরিশ্রম করতে হচ্ছে। সেনাবাহিনীকে প্রয়োজনে বিজিবি (সাবেক বিডিআর) সহযোগিতা করে থাকে। প্রধানত শীতকালে সেনারা স্থানীয় মানুষকে খাদ্য, কাপড় ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করে থাকে। তারা বন্যা এবং পাহাড় ধসের সময়ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করে। সেনাবাহিনী পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি, সংহতি, স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রধান কারিগর হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে।
 
 
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা (ইউএনপিএসও)-এর সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত। ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দের১ম উপসাগরীয় যুদ্ধ চলাকালে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ২,১৯৩ জন সদস্যবিশিষ্ট একটি দলসৌদি আরব এবং কুয়েতের শান্তি রক্ষা কাজের পর্যবেক্ষক হিসেবে প্রেরণ করে। পরবর্তীতে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নামিবিয়া, কম্বোডিয়া, সোমালিয়া, উগান্ডা/রুয়ান্ডা, মোজাম্বিক, প্রাক্তন যুগোস্লাভিয়া, লাইবেরিয়া, হাইতি,তাজিকিস্তান, পশ্চিম সাহারা, সিয়েরা লিওন, কসোভো, জর্জিয়া, পূর্ব তিমুর, কঙ্গো, আইভরি কোস্ট ও ইথিওপিয়ায় শান্তি রক্ষা কাজে অংশগ্রহণ করে। ২০১০ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের প্রায় ১০,৮৫৫ সৈন্য সারা বিশ্বে জাতিসংঘ শান্তি-রক্ষী বাহিনীতে কর্মরত আছে, যা পৃথিবীর অন্য যে-কোন দেশ হতে বেশি
A beautiful Video To watch 
ইউএন এ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এত চাহিদার কারণের পেছনে রয়েছে বেশ কিছু বিষয়। অনেকেরই একটা ধারণা আছে যে, আমাদের সেনাবাহিনী এমন কি হয়ে গেল যে সারা দুনিয়ায় এত চাহিদা। এই গরীব দেশের আর্মির অস্ত্র সাজসরঞ্জাম কিই বা আছে। দুনিয়ায় এত উন্নত দেশের আর্মি আর সাজ সরঞ্জাম থাকতে কেন বাংলাদেশ ইউএন এ সবোচ্চ সংখ্যক সেনা পাঠাচ্ছে।
আসলে বাংলাদেশ আর্মির মত এত সস্তায় এত ভাল পারফরম্যান্স অন্য কোন আর্মির কাছে ইউএন পায় না বলেই এদের এত চাহিদা। ন্যাটো সহ অন্যান্য ফোর্স চৌকস হলেও ভীষণ ব্যয়বহুল। একই সাথে আছে ডিসিপ্লিনের ব্যাপার, বিশেষত আফ্রিকার দেশগুলোতে অবাধ যৌনাচারে অভ্যস্ত সেনা সদস্যদের এইডস আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা। সেদিক থেকে আমাদের দেশের সেনারা অনেক নিরাপদ।
এখন আসি মিশন এলাকায় আমাদের সেনাদের কাজ প্রসঙ্গে। মিশন চলে যুদ্ধরত বা যুদ্ধবিদ্ধস্থ দেশ গুলোতে। এসকল বেশির ভাগ দেশেই সরকারের বিরোধী বিদ্রোহী গ্রুপ থাকে যারা সুযোগ পেলে ইউএন ট্রুপসের ওপরও হামলা চালায়। তাদের নিবৃত্ত করে যুদ্ধরত বা যুদ্ধবিদ্ধস্থ একটা দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কিন্তু খুব সহজ কাজ নয়। বিশেষত সেই দেশগুলো যখন আফ্রিকার (কিছু ক্ষেত্রে যুদ্ধরত, কিছু ক্ষেত্রে আধা সভ্য বা বর্বর) মানুষে পরিপূর্ণ। কিন্তু আমাদের সেনারা এই দুরহ কাজটি অত্যন্ত সফলভাবে করে যাচ্ছে এবং সারা বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার পাশাপাশি দেশকে প্রচুর রেমিট্যান্স দিচ্ছে বহিঃবিশ্বের মানুষ যে কয়টি কারণে বাংলাদেশের নাম জানে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ইউএন মিশনে সর্বোচ্চ শান্তি রক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে।
প্রায়ই একটা কথা শোনা যায় যে আমাদের সেনা বাহিনী যুদ্ধ করারা উপযোগী কি না। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কিন্তু আমাদের কিন্তু সেনাদের প্রায়ই যুদ্ধাবস্থার মধ্যে কাজ করতে হয়। গত বছর আইভরি কোস্টে যখন যুদ্ধ দানা বেঁধেছিল তখন কিন্তু আমাদের দেশের সেনারাই শান্তি রক্ষায় বলিষ্ঠ ভুমিকা রেখে সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। এর আগে কঙ্গোতে শান্তিরক্ষা করতে গিয়ে বিপ্লবীদের সাথে যুদ্ধে বেশ কয়েকবার হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
 
 
 
 
মিশনে যুদ্ধ করতে যে সরঞ্জামাদি লাগে, সেগুলো জাতিসংঘের নিয়মানুযায়ী না হলে তার ভাড়া পাওয়া যায়না। জাতিসংঘ কতৃক এই নিয়ম করা হয়েছে যাতে করে ভালো সরঞ্জামাদির মাধ্যমে শান্তি রক্ষীদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। অথচ আমাদের সেনারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পুরনো এবং ঝুঁকি-পূর্ণ সরঞ্জামাদি দিয়ে মিশন করে আসে। নইলে সরকারের মোটা অঙ্কের টাকা লাগতো এ সব সরঞ্জাম কিনতে। তারা পুরনো সরঞ্জাম নিয়ে যায় এই মোটিভেশনে যে, আমাদের দেশ গরীব, নতুন সরঞ্জাম কেনার পয়সা নেই। কষ্টটা না হয় আমরাই করি।
যখন জাতিসংঘ থেকে যখন ইন্সপেকশনে আসে, তখন, সাধ্যের সব কিছু দিয়ে সেই পুরোনো জিনিষ গুলোকে “যুদ্ধোপযুক্ত” হিসেবে সার্টিফাই করায় তারা। কারণ, যুদ্ধোপযুক্ত না হলে রিম্বার্সমেন্টের টাকা পাওয়া যাবেনা। রিম্বার্সমেন্টের এই টাকা কিন্তু সেনারা নিজেরা পায়না। পায় সরকার। মিশনে সেনাদের থাকার জন্য পাকা ঘর পাওয়ার কথা। জাতিসংঘ সেই ঘর না দিতে পারলে বিনিময়ে টাকা দেয়। আমাদের সেনারা বেশির ভাগ সময়েই তাবুতে থাকে। তাবুতে থাকার কারণে প্রাপ্ত মোটা অংকের পুরো টাকাটাই কিন্তু সরকারী কোষাগারে জমা হয়।
আমরা গার্মেন্টস সহ অন্যান্য অনেক শিল্পের মাধ্যমে রাজস্ব আয়ের ব্যাপারে অবগত আছি। একই সাথে এটাও সত্য যে এদেশেই শ্রমিকদের প্রাপ্য সামান্য বেতনের জন্য রাজপথে নামতে হয়। তেমনি বিপুল পরিমান রাজস্ব প্রদানকারী সেনাবাহিনীর এই রূপটি কিন্তু আমাদের অগোচরেই থাকে। চোখের সামনে আমাদের শুধু ভাসে জলপাই রঙের নির্মমতা। দুর্ভাগা আমরা, কত ডেডিকেশন নিয়ে কাজ করলে আফ্রিকার একটা দেশের দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে বাংলাকে অধিষ্ঠিত করে দেশকে এমন বিরল সম্মান এনে দেয়া যায় কখনো ভেবেছেন কি?
Commando Training Video -Bangladesh Army
 
 
সেনাবাহিনীর অফিসারদের যে সকল শিক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় ঃ
ক। বেসিক কোর্স – কোর ভেদে সাধারনত ৪ মাস হতে ১০ মাস সময়সীমার হয়, সাধারণত সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট/ লেফটেন্যান্ট অবস্থায় এই কোর্স করানো হয়। প্রতিটি অফিসারকেই নিজ নিজ প্রফেশনাল জ্ঞান প্রদান করাই এই কোর্সের উদ্দেশ্য।
খ। অস্ত্রের উপর কোর্স – সব অফিসারকেই অস্ত্র চালনায় অত্যন্ত দক্ষ শার্প শুটার করে তোলার জন্য বি এম এ তে দুই বছর প্রচুর অনুশীলন ও এই বিষয়ে পড়াশোনা করতে হয়। অফিসার হবার পর পুনরায় লেফটেন্যান্ট অবস্থায় তিন মাস ব্যাপী একটি কোর্স করানো হয় যাতে আগের শেখা বিষয়গুলো তারা ঝালিয়ে নিতে পারে। সাধারণভাবে বলা যায় যে এই প্রশিক্ষণ গ্রহনের ফলে প্রতিটি অফিসারই সব ধরণের অস্ত্র সম্পর্কে বিস্তারিত তাত্ত্বিক জ্ঞান অর্জন করে, এক একজন দক্ষ মার্কস ম্যান হয়ে ওঠে এবং সব ধরণের অস্ত্র চালনায় প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসী হয়। সেনা অফিসারদের মধ্যে অনেক স্নাইপার ও রয়েছেন।
গ। কমান্ডো কোর্স – প্রায় তিন মাস সময়সীমার এই কোর্সটি প্রচন্ড কষ্টসাধ্য একটি কোর্স যা প্রত্যেক সেনা অফিসারকে বাধ্যতামূলক ভাবে করতে হয়। এই কোর্সে প্রতিটি অফিসারকে আমানুষিক কষ্টের মধ্যে রাখা হয়। এমনিতেই বি এম এর প্রশিক্ষণ প্রচন্ড কষ্টসাধ্য। অফিসার হবার এক থেকে দুই বছরের মধ্যে এই কমান্ডো কোর্স করতে হয়। এই তিন মাসের কষ্ট এমনকি বিএমএ জীবনের দুই বছরের অমানুষিক কষ্ট কেও হার মানায়।
প্রায় প্রতিদিনই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ৬ কিমি থেকে ৪০ কিমি পর্যন্ত দৌড়, অ্যাসল্ট কোর্স(বিভিন্ন ধরণের প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম),টানা দৌড়ে উঁচু উঁচু ৭ টি পাহাড় অতিক্রম, আনআর্মড কম্ব্যাট ট্রেনিং (মার্শাল আর্টের সামরিক সংস্করন), ট্র্যাকিং, ম্যাপ অনুসরণ করে দুর্গম এলাকায় ডে মার্চ বা নাইট মার্চ,কমান্ডো কৌশল অনুসরন করে শত্রু এলাকার ভেতরে প্রবেশ করে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনার অনুশীলন,খাবার ছাড়া দুর্গম এলাকায় বেঁচে থাকার সারভাইভাল ট্রেনিং, উড়ন্ত হেলিকপ্টার থেকে র‍্যাপেলিং সহ অনেক দুঃসাহসিক প্রশিক্ষণ নেয়ার পাশাপাশি রণকৌশলের ওপর পড়াশোনা করতে হয় এ সময়।
এছাড়া নির্বাচিত অফিসাররা আরও ৬ মাস ব্যাপী কমান্ডো প্রশিক্ষণ নেয় যেখানে উপরে উল্লেখিত প্রশিক্ষণ ছাড়াও আরও অনেক দুঃসাহসিক প্রশিক্ষণ পরিচালিত হয়। প্যারাশুট নিয়ে ফ্রী ফল, জাম্প মাস্টার, রিগ্যার ইত্যাদি কমান্ডো অনুশীলনের অন্তর্গত। এ ধরণের প্রশিক্ষনে প্রশিক্ষিত দের জাতিসংঘে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কমান্ডোদের মটো হচ্ছে do or die . এই প্রশিক্ষণ চলাকালে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। ক্যাজুয়াল্টি তো অহরহ ঘটে। প্রতিটি সেনা অফিসারই এক একজন বেসিক কমান্ডো।
ঘ। জুনিয়র স্টাফ কোর্স – এ কোর্স টিও বাধ্যতামূলক ভাবে সকল ক্যাপ্টেন র‍্যাঙ্কের অফিসারদের করতে হয়। এটি চার মাস ব্যাপী এবং সম্পূর্ণ পড়ালেখার একটি কোর্স। এখানে রণকৌশল বা ট্যাকটিকস সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেয়া হয়।
উপরের সবগুলো কোর্সই মানের দিক থেকে বিশ্ব মানের এবং প্রতিটি কোর্সেই উল্লেখ যোগ্য সংখ্যক বিদেশী অফিসার যোগদান করে। শুধু উপমহাদেশের অফিসাররা নয়, মধ্যপ্রাচ্যের, আফ্রিকা, ইউরোপ মহাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ক্যাপ্টেন এবং মেজর র‍্যাঙ্কের অফিসাররা এইসব সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে বাংলাদেশে আসে এবং আমাদের প্রশক্ষনের মানের ভুয়সী প্রশংসা করে থাকেন। এমনকি আধুনিক বিশ্বে পরাশক্তি হিসেবে পরিচিত ইউ এস আর্মি এবং মেরিন অফিসার এবং সেনারা এই ধরণের প্রশিক্ষনে অংশ নেয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর সাথে প্রতি বছরই যৌথ সামরিক অভিযান চালায় যা ‘ব্যালান্স বাফেলো’ এক্সারসাইজ নামে পরিচিত।

যারা বাংলাদেশ আর্মির অফিসারদের প্রশিক্ষণের স্ট্যান্ডার্ড সম্পর্কে সন্দিহান,তাদের জন্য আশা করি উপরের তথ্যগুলো সহায়ক হবে।

 
 
Exit mobile version