You are currently viewing বাংলাদেশকে একটি জঙ্গি রাস্ট্র হিসাবে প্রমান করতে মাস্টারপ্ল্যান রুখে দিন

বাংলাদেশকে একটি জঙ্গি রাস্ট্র হিসাবে প্রমান করতে মাস্টারপ্ল্যান রুখে দিন

বাংলাদেশকে একটি জঙ্গি রাস্ট্র হিসাবে প্রমান করতে অনেক মাস্টারপ্ল্যানই বিভিন্ন জায়গায় বাস্তবায়িত হচ্ছে ।

বাংলাদেশে গত কিছুদিন থেকেই কিছু বিপথগামী ব্রেইন ওয়াসড সন্ত্রাসী গোষ্ঠীরা তথাকতিত  বিভিন্ন ধর্মের নামে বিদ্রূপ কারি কিংবা ধর্ম বিদ্বেষী  নাস্তিকদের উপর হামলা করছে এবং তাদের বিভিন্ন জায়গায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীরা তাদের গ্রেফতার করছে কিংবা চেষ্টা চলছে ।

কিছু কিছু  ব্যাক্তিদের হত্যা করা  হয়েছে যারা কখনই ধর্ম কে নিয়ে কিছু বলে নি কিংবা লিখেন নি তাদের কেন   বা কারাই হত্যা করল ?

বাংলাদেশকে একটি জঙ্গি সন্ত্রাসী রাস্ট্র হিসাবে আখ্যা দিয়ে হয়ত কারো   ট্যাংক ঢোকানো সহজ  হবে , আমেরিকা  সচারাচার যে অজুহাতে বিভিন্ন মুসলিম দেশ আক্রমন করে  । এইরকম নীলনকশাই হয়ত আকছে দেশের  শত্রু রা ।

বাংলাদেশে হয়ত আমেরিকার ট্যাঙ্ক ঢুকবে না ঢুকবে আমাদের বন্ধু রাস্ট্রের ।

বাংলাদেশে সম্প্রতি ঝিনাইদহ এবং পাবনায় পুরোহিত হত্যার ঘটনায়, ঢাকার ভারতীয় দূতাবাসের কূটনীতিকরা সেই জায়গা পরিদর্শন করেছেন। কয়েকদিন আগেই পটুয়াখালী সফররত ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনের একজন কূটনীতিককে উদ্ধৃত করে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম খবর দিয়েছে যে, বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা ফেরাতে ভারত সহায়তা করবে । যদিও ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, নিহতদের পরিবারদের সমবেদনা জানাতেই তারা বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন।

বাংলাদেশে হিন্দু এবং মুসলমানদের মধ্যে দুরত্ব বাড়িয়ে বিশ্বের কাছে ইসলাম এবং বাংলাদেশকে এই ছোট করার নিলনকশা সম্পর্কে সচেতন হোন । আপনার পাশের যে কোন হিন্দু ,খ্রিস্টান বা অন্য ধর্মের লোকদের  দের সাথে কোন অবিচার হচ্ছে কি না তা সম্পর্কে খেয়াল রাখুন

কিন্তু আমাদের প্রশ্ন বাংলাদেশে প্রতিদিন বিভিন্ন হত্যাযোগ্য হয় ,  বিভিন্ন কারনে ।  গত  দুই মাসে  ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেই বিভিন্ন সংঘর্ষে কমপক্ষে  ১২০ জন বাংলাদেশী মারা গিয়েছে । যা কারো কাছেই কাম্য নয়  । এর মধ্যে কত জনের পরিবারকে ভারতীয় হাইকমিশন দেখতে হিয়েছেইলেন  সমবেদনা জানাতে ?

হিন্দুরা ভারতের নাগরিক নয় , বাংলাদেশের সাধারন হিন্দুরা বাংলাদেশকে ভালবাসে যে কোন মুসলমানের মতই ।

আমরা বাংলাদেশিরা  হিন্দু , মুসলমান , খ্রিস্টান , বৌদ্ধ সকল ধর্মের ।

।গত ১২ জুন  ভারতের শীর্ষ পত্রিকা  ইন্দিয়ান এক্সপ্রেস   খবরে বলা হয় বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় –  ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে তাদের নিরাপত্তার জন্য আবেদন করেছে –

 ঈন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এর লেখার স্ক্রিনশট দিয়ে দেওয়া হোল ) 

বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রধান সমিতি হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাস গুপ্ত ভারতের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআইকে ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস কে  দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের এই হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বলে জানা যায় । ।

দেশের একজন নাগরিক হয়ে ভিনদেশি সরকার এর কাছ থেকে নিরাপত্তা চেয়ে তিনি বাংলাদেশ কে অপমানিত করেছেন এবং করেছেন দেশদ্রহিতার মত অপরাধ  । ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে  ও  পিটিআইয়ের প্রকাশিত খবরে, রানা দাসগুপ্তকে যেভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে সেটি তুলে ধরা হলো:

‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় কমিউনিটি হিন্দুরা বাংলাদেশে ঝুঁকির মধ্যে আছে। মৌলবাদী এবং জামায়াত শক্তি বাংলাদেশ থেকে হিন্দুদের নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করছে। আমরা মনে করি, হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে ভারতের কিছু একটা করা উচিত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর আমাদের অনেক আশা। বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার জন্য তার কিছু একটা করা উচিত  ’

আমাদের আসে পাসেই সকল ধর্মের মধ্যেই কিছু হাতে গোণা  দেশদ্রোহী পাওয়া যাবে যারা যে কোন ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিবেশি দেশের গুণগান গাইবেন । পাড়লে বাংলাদেশকে  বিক্রয় করে  দেন এখনি ।  এইসকল দেশদ্রোহীরা সকল ধর্মের মধ্যেই আছে

ভারতীয় মিডিয়ার এবং বাংলাদেশি গুটি কয়েক  হিন্দু নেতাদের বাড়াবাড়ি !

বাংলাদেশ  কে নিয়ে এইভাবে লেখার সাহস কিংবা কোন এখতিয়ারি থাকার কথা নয় কোন ইন্ডিয়ান মিডিয়ার । বাংলাদেশকে গ্রেটার ইন্ডিয়ার কোন অঙ্গরাজ্য ভেবে থাকলে তারা হয়ত নির্ঘাত কোন ঘোরতর সপ্ন দেখছে তারা  ।

” বন্ধু  হিসাবে  যে কোন ব্যাপারে , বাড়ির  বৈঠক খানায় আপনি  আমন্ত্রিত   ,  কিন্তু অন্দরমহলের হালকা  ঝগড়া মেটাতে বেড রুমে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় নি আপনাকে । আর যাওয়ার চেষ্টা করলে পরিনিতি ইতিহাসি বলে দেয় পড়ে নিন একাত্তরের চিটি গুলি ”

তার প্রক্ষাপেটে  আমরা  বাংলাদেশিরা কঠোর ভাবে বলে দিতে চাই আমাদের প্রতিবেশী দেশের সরকার এবং মিডিয়া কে 

 ” দয়া করে বাংলাদেশ কে নিজেদের কোন অঙ্গ রাজ্য ভাববেন না , ত্রিশ লক্ষ শহিদের রক্তে ভেজা বাংলাদেশের মাটিতে বাংলাদেশীরাই তাদের নিরাপত্তা দিতে সক্ষম , একটি স্বাধীন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর কোন চেষ্টা কিংবা নিরাপত্তা দেওয়ার স্পর্ধা দেখানোর চেষ্টা করা মানেই আমাদের স্বাধিনতাকে হস্তক্ষেপ করা । ১৯৭১ এ পাকিস্তানিরা বুঝে গিয়েছিল বাংলাদেশিরা কেমন আপনারা আমাদের বন্ধু আছেন তাই থাকুন । হিন্দু খ্রিস্টান , মুসলিম আমরা সবাই বাংলাদেশি এবং আমাদের নিরাপত্তা আমরা নিজেরাই দিতে পাড়ি । আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ । মহান একাত্তরের চেতনার এই বাংলাদেশের তরুন রা দরকার হোলে   আবারো জীবন দেবে দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য । থামিয়ে দেবে  শকুনদের থাবা । এই তো কেবল সময়ের খেলা মাত্র । ন্যায়ের জয় হয়েছিল , হবে ।

অহেতুক শুধু ধর্মের কারনে কাউকে ছোট কিংবা তুচ্ছ তাচ্ছিল্ল করবেন না  যা ইসলামিক ভাবে গুনহের কাজ । গুটিকয়েক দেশদ্রোহী যে কোন ব্যাপারে ভিনদেশের হস্তক্ষেপ চাইতে পাড়ে , কিন্তু  দিনশেষে সেই জারজ গুলো বাদে ধর্ম , বিত্ত , পেশা নির্বিশেষে আমরা বাংলাদেশী । আমরা বাংলাদেশকে ভালবাসি ।

——-

আজিজ তারেক

সম্পাদক -বিডি নিউজনেট ডট কম

editor@bdnewsnet.com

Aziz Tarak

The most important and glorious habit of my life is reading .The reading define me what i am right now . The reading made me disbeliever also made me believer . No i am not a brainwashed reader . I read to learn and learned how to read . catch me if you can : editor@bdnewsnet.com

Share your Valuable opinion with everybody